, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সিরাজগঞ্জে ট্রেনের একাধিক আসন ২জনের কাছে বিক্রির অভিযোগ বুকিং সহকারীর বিরুদ্ধে 

  • আপলোড সময় : ১৬-০৯-২০২৩ ০২:০৫:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৯-২০২৩ ০২:০৫:২২ অপরাহ্ন
সিরাজগঞ্জে ট্রেনের একাধিক আসন ২জনের কাছে বিক্রির অভিযোগ বুকিং সহকারীর বিরুদ্ধে 
আমিরুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: আবারো সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে টিকিট বুকিং সহকারীদের বিরুদ্ধে।

সরেজমিনে স্টেশনে গেলে ট্রেনযাত্রী ফজলুল করিম, আলিফ, আয়শা সিদ্দিকা, মোস্তাক আহমেদ জানান, একই আসনের টিকিট একাধিক যাত্রীর কাছে বিক্রি করা হয়েছে। সেই টিকিট আসল কিনা কর্তৃপক্ষকে দেখার জন্য বলেছেন। ডিজিটাল টিকিটিং সিস্টেম চালু না হওয়ায় এনালগ পদ্ধতিতে টিকিটের গায়ে জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন নম্বর লিখে টিকিট বিক্রি করা হয়। এই সুযোগে স্টেশনটির বুকিং সহকারীরা একই সিট নম্বরের টিকিট একাধিক যাত্রীর কাছে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে বিক্রি করছে।

তারা আরও জানায়, টিকিট নিতে এলে প্রথমে সিট নেই বলে অথচ অতিরিক্ত টাকা হাতে ধরিয়ে দিলে টিকিটের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আবার খুচরা টাকা ফেরত দিতে চায় না।

এ বিষয়ে জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের টিকিট বুকিং সহকারী আনোয়ার হোসেন দায় স্বীকার করে বলেন, আমি চার বছর কম্পিউটার স্টেশনে কাজ করেছি। হঠাৎ করে আমাকে পেপার টিকিট সেকশনে বদলি করা হয়েছে, যা আমি আগে কখনো করিনি। এখানে আমার কোনো সহকর্মীও নেই যে শিখে নেব। আমি একটানা ৫ থেকে ৭ দিন ধরে ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করছি। এই রকম ভুল আর হবে না।

বিষয়টি নিয়ে স্টেশন মাস্টার আবু হান্নান বলেন, একজন বুকিং সহকারী পক্ষে ২৪ ঘণ্টা কাজ করা অসম্ভব। আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এটা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা। যে জায়গায় ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন কাজ করার কথা সেখানে ২ জন দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেখানে ১ জন লোক ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা কাজ করলে তার মাথা কাজ না করাটাই স্বাভাবিক। এ জন্যই এই ধরনের ভুল আরও বেশি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, ওই টিকিট বুকিং সহকারী জামতৈল স্টেশনে নতুন এসেছেন। যেহেতু হাতে লিখে টিকিট বিক্রির কিছু নিয়ম আছে । টিকিট বিক্রি করে সেটা খাতায় মিলিয়ে রাখতে হয়। কম্পিউটারে টিকিট বিক্রির সিস্টেম এসেছে তো ১৫ থেকে ২০ বছর ধরে। তাহলে দেড়শ বছর ধরে ট্রেনের টিকিট কীভাবে বিক্রি করছে। তবে তিনি যদি অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকে তাহলে অন্যায় করছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া

সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া